সস শব্দটি এসেছে ফরাসি শব্দ স্যালসুস থেকে যার অর্থ লবন যুক্ত।এটি এক ধরনের তরল বা লেই জাতীয় খাদ্য উপকরণ যা খাবারের সাথে বা অন্য খাদ্যে তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। সস সাধারণত এমনি এমনি খাওয়া হয় না, এটা মুলত অন্য খাবারকে দৃষ্টিমধুর,সুগন্ধ যুক্ত করতে ও আর্দ্রতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। বর্তমান বিশ্বের রন্ধন প্রণালীতে সস একটি অপরিহার্য উপাদান।সস খাবারে আলাদা স্বাদ ও মাত্রা যোগ করে। সস বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।তাছাড়া বিভিন্ন রেসিপি তে ভিন্ন ভিন্ন সস ব্যবহার করা হয়।ভাজাপোড়া,চাইনিজ,থাই মেক্সিকান ডিশ রান্না,মেরিনেশন ইত্যাদিতে সস ব্যবহার করা হয়।আবার সালাদেও সস ব্যবহার করা হয়,তবে সালাদের সস কে বলা হয় সালাদ ড্রেসিং। বাজারে বিভিন্ন নামি দামি ব্রান্ডের সস কিনতে পাওয়া যায়।যার অধিকাংশ সসই বাসায় বানিয়ে নেয়া যায়। তাহলে চলুন আজ কিছু সসের রেসিপি শিখে নেয়া যাক। ৩৩ রকমের সস রেসিপি-ঘরে বানানো সহজ রেসিপি ১।টমেটো সস/কেচাপ উপকরণঃ ফ্রেশ টমেটো ২ কেজি আদা বাটা ১ চা চামচ রসুন বাটা ১ চা চামচ শুকনো মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ গরম মশলা ২ চা চামচ(অপশনাল) চিনি স্বাদমতো লবন পরিমাণমত সিরকা ১ কাপ তেতুল গোলা পানি ২ টেবিল চামচ(অপশনাল) কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ। প্রস্তুত প্রনালীঃ টমেটো গোটা অবস্থায় ভাল করে ধুয়ে কিচেন টাওয়াল দিয়ে মুছে নিন যাতে পানি না থাকে।পানি থাকলে সস তারাতাড়ি নস্ট হয়ে যাবে।এরপর টমেটো চার ভাগ করে কেটে নিন। এবার একটি হাড়িতে সব টমেটো নিয়ে সামান্য চিনি, সিরকা ও কর্নফ্লাওয়ার বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে মাঝারি আঁচে ঢেকে রান্না করুন সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে একটি চালুনির সাহায্যে চেলে টমেটোর কাথ বা রস আলাদা করে নিন অথবা ঠান্ডা করে ব্লেন্ড করে ছেকে নিন। এবার চেলে নেওয়া উপকরণ একটি কড়াইয়ে নিয়ে চিনি ও সিরকা সহ চুলায় বসিয়ে মাঝারি আঁচে ২০/২৫ মিনিট জ্বাল দিয়ে নেড়েচেড়ে পানি শুকিয়ে ঘন করে নিন। টমেটো পিউরির মিশ্রণ ঘন হয়ে এলে অর্থাৎ পানি শুকিয়ে ৩ ভাগের ১ ভাগ হয়ে এলে ২ টেবিল চামচ ভিনেগারের সাথে ১ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার গুলে সসে অল্প অল্প করে দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।যাতে এক জায়গায় দলা পেকে না যায়। আরো ৫/৬ মিনিট জ্বাল করে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হলে বোতলে ভরে সংরক্ষণ করে বিকেলের বিভিন্ন নাস্তার সাথে পরিবেশন করুন। ব্যবহার: বিভিন্ন ভাজাপোড়া,নুডলস,মাংস মেরিনেশন এ ব্যবহার কর হয় এছাড়া অন্যান্য অনেক খাবার এর স্বাদ বাড়াতে রান্না করার সময় টমেটো সস/কেচাপ ব্যবহার করা হয়। ২।হট টমেটো সস উপকরণ_১ঃ পাকা ফ্রেস টমেটো ২ কেজি পেয়াজ কুচি ১ কাপ শুকনো মরিচ ৬/৭ টি দারুচিনি ৪/৫ পিচ লং ১০/১২ টি পানি ২ কাপ উপকরন_২ঃ হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ লবণ স্বাদমতো শুকনো মরিচ গুঁড়া ২/৩ চা চামচ কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ ফ্রেস তেতুল ৫ ছড়া/স্টিক সাদা ভিনেগার আধা কাপ। ভিনেগারের সাথে তেতুলের ছড়া আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে হাত দিয়ে ভাল করে চটকে ছেকে তেতুলের মার/কাথ বের করে নিন। প্রস্তুত প্রনালীঃ টমেটো ভাল করে ধুয়ে বোটার অংশ ফেলে চার ভাগ করে কেটে নিন। এরপর টমেটো একটি কড়াইয়ে নিয়ে উপকরণ ১ এর সব দিয়ে মাঝারি আঁচে ভাল করে সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ হয়ে গেলে গোটা মশলা বেছে ফেলে দিয়ে চালুনি দিয়ে চেলে টমেটোর কাথ/পিউরি বের করে নিন।অথবা ঠান্ডা করে ব্লেন্ড করে ছেকে নিন। এবার একটি কড়াইয়ে টমেটো পিউরি নিয়ে এতে কর্নফ্লাওয়ার বাদে ২ নং উপকরণ এর সব উপকরণ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে চুলায় মাঝারি আঁচে বসিয়ে নেড়েচেড়ে জ্বাল করতে থাকুন ২০/২৫ মিনিটের মত। ২০/২৫ মিনিট পর মিশ্রণ এর ঘনত্ব ৩ ভাগের ১ ভাগ হয়ে এলে ৪ টেবিল চামচ ভইনেগারের সাথে ২ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার গুলে সসের সাথে অল্প অল্প করে দিয়ে অনবরত নেড়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। আরো মিনিট পাঁচেক জ্বাল দিয়ে সস নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন এবং কাঁচের জারে সংরক্ষণ করুন। ব্যবহার: যারা ঝাল খেতে পছন্দ করে তারা বিভিন্ন ভাজাপোড়ার সাথে এই সস খেয়ে থাকে।তাছাড়া খাবারের স্বাদকে স্পাইসি করতেও হট টমেটো সস ব্যবহার করা হয়। টিপসঃ #টমেটো বেশী টক হলে সিরকার পরিমান কমিয়ে দিন বা চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। #যেকোনো সসে ঝালের পরিমাণ নিজের পছন্দমত বাড়িয়ে কমিয়ে নিতে পারেন। #সস সবসময় রেফ্রিজারেটর বা ঠান্ডা স্থানে রাখতে হয়,তাহলে সহজে নষ্ট হয়না। #সসের জন্য পাকা টসটসে ফ্রেশ টমেটো বেছে নিন।এতে সসের স্বাদ ও মান ভাল আসবে। #টমেটো সিদ্ধ করার সময় পাকা তেতুল দিতে পারেন,এতে অন্য রকম ফ্লেবার আসবে আর টমেটো পিউরির রঙ ও গাঢ় হবে। #বেশি করে সস বানিয়ে সংরক্ষণ করতে চাইলে ছোট ছোট সসের বোতলে দৈনিক খাওয়ার জন্য আলাদা করে নিন।তাহলে পুরোটা নষ্ট হবেনা।স্বাদ ও ঘ্রাণ ঠিক থাকবে। #স্বাদ এ ভিন্নতা আনতে পরিবেশন এর আগে টমেটো সসের সাথে মেয়নেজ,পুদিনা/ধনে পাতা বাটা মিশিয়ে নিন। #টমেটো সস কে আরো স্পাইসি করতে চাইলে এর সাথে মরিচের গুঁড়ো/চিলি ফ্লেক্স বা চিলি সস মিশিয়ে নিতে পারেন। ৩।রেড চিলি সস উপকরণঃ শুকনো মরিচ ৫০ গ্রাম/লাল মরিচ ২০০ গ্রাম টমেটো পেস্ট/বাটা ২ টেবিল চামচ রসুন বাটা ২ চা চামচ লবণ স্বাদ মত চিনি ৩ টেবিল চামচ সাদা ভিনেগার ১ কাপ কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ অরিগ্যানো ১ চিমটি ধনিয়া গুঁড়া আধা চা চামচ জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ প্রস্তুত প্রনালীঃ প্রথমে মরিচের বোঁটা ও বীজ গুলো ফেলে গরম পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে মসৃন একটা পেস্ট বানিয়ে নিন।(কাচা লাল মরিচ নিলে ভিজিয়ে রাখার প্রয়োজন নেই) এরপর কড়াইয়ে মরিচের পেস্ট নিয়ে প্রয়োজন মতো লবন,রসুন বাটা,চিনি,অরিগ্যানো,ধনিয়া,জিরার গুঁড়া দিয়ে চুলায় বসিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। মিশ্রণটি ফুটে উঠলে ১ কাপ ভিনেগার এর সাথে কর্নফ্লাওয়ার গুলে দিয়ে দিন এবং অনবরত নাড়তে থাকুন। ভিনেগার দেয়ার পর মিশ্রনটি ফুটে ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন এবং ঠান্ডা করে কাচের বোতলে ভরে সংরক্ষণ করুন রেডি চিলি সস। ৪।থাই সুইট চিলি সস উপকরণঃ পাকা/কাচা মরিচ ৭/৮ টি সাদা ভিনেগার আধা কাপ রসুন ৪ কোয়া চিনি ১ কাপ লবণ ১ চা চামচ কর্নফ্লাওয়ার ৪ টেবিল চামচ(সস কম ঘন চাইলে পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে) পানি প্রয়োজন মত। প্রস্তুত প্রনালীঃ প্রথমে এক/দেড় কাপ পানির সাথে মরিচ ও রসুন ব্লেন্ড করে নিন।একেবারে মিহি ব্লেন্ড করার দরকার নেই। আধা কাপ ভিনেগার এর সাথে কর্নফ্লাওয়ার ভাল করে গুলে রেখে দিন। এরপর একটি সসপ্যান বা কড়াইয়ে ব্লেন্ড করা উপকরণ ঢেলে এর মাঝে প্রয়োজন মত চিনি,লবন ও আরো ২ কাপ মত পানি দিয়ে চুলায় জ্বাল ধরিয়ে দিন। বলক আসার পর ২/৩ মিনিট জ্বাল দিয়ে গুলে রাখা কর্নফ্লাওয়ার এর মিশ্রণ দিয়ে ভাল করে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিন। দুই তিন মিনিট জ্বাল দিয়ে পছন্দসই ঘনত্বে আসলে নামিয়ে ঠান্ডা করে কাচের জারে বা বোতলে সংরক্ষণ করুন। ৫।গ্রীন চিলি সস উপকরণঃ কাঁচা মরিচ ২৫০ গ্রাম সিরকা ৩ কাপ রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ বিটলবণ আধা চা চামচ টেস্টিং সল্ট আধা চা চামচ নরমাল লবণ আধা চা চামচ চিনি ১ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ। প্রস্তুত প্রনালীঃ কাচামরিচ বোটা ফেলে ভাল করে ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে কিচেন টাওয়াল দিয়ে মুছে এক কাপ সিরকা দিয়ে মিহি করে বেটে বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার একটি কড়াই বা সসপ্যানে ব্লেন্ড বা বাটা মরিচ, রসুন বাটা,লবন,চিনি ও এক কাপ সিরকা দিয়ে চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিয়ে নাড়তে থাকুন। মিশ্রণ ফুটে উঠলে ৩/৪ মিনিট পর এক কাপ সিরকায় কর্নফ্লাওয়ার গুলে মিশ্রণ এর মাঝে ঢেলে দিয়ে অনবরত নেড়ে সস ঘন করে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে কাচের বোতলে সংরক্ষণ করুন। ৬।চাইনিজ হট চিলি সস উপকরণঃ কাঁচ বা সিরামিকের বড় জার ১ টি লাল বা শুকনা মরিচ ২ কাপ(হালকাভাবে ব্লেন্ড করা) চিনি আধা কাপ জারের মুখ বাধার জন্য পরিষ্কার কাপড় ও দড়ি। প্রস্তুত প্রনালীঃ প্রথমে মরিচ ৬-৭ ঘণ্টার মত ভিজিয়ে রাখুন,মরিচ ভিজে নরম হলে হালকাভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এবার আধা কাপ চিনি ও অল্প পরিমাণে পানি মিশিয়ে আবারো ব্লেন্ড করে নিন।বেশ আঠালো একটি মিশ্রণ তৈরি হবে।আঠালো করতে প্রয়োজনে আরো একটু চিনি মিশিয়ে নিন। এরপর এই আঠালো মিশ্রণটি কাচের/সিরামিকের জারে ভরে অর্ধেক পরিমানে পূর্ণ করে বাকি অর্ধেক খালি রেখে দিন। ফাঁকা রাখার ফলে ব্যাকটেরিয়া যখন মরিচ গলাবে তখন কার্বন ডাই অক্সাইডের কারণে এই মরিচ জারের মুখ উপচে পড়বে না। এবার জারের মুখ একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে দড়ি দিয়ে বেঁধে দিন। কাপড় দিয়ে বাধার কারনে ব্যাকটেরিয়া ধীরে ধীরে যখন মরিচের আধ ভাঙ্গা টুকরা গুলো গলিয়ে ফেলবে তখন এখান থেকে সৃষ্ট গ্যাস সহজেই বেরিয়ে যেতে পারবে।কোন অবস্থাতেই জার বায়ুরোধী করে বাধা যাবেনা। কাপড়ের পরিবর্তে বাতাস প্রতিরোধী অন্য কোনও কিছু দিয়ে আটকানো হহলে ভিতরে সৃষ্ট গ্যাসের কারণে জার ফেটে বা ভেঙ্গে যেতে পারে। ব্যস এভাবে ১৫/৩০ দিন এভাবে রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে চাইনিজ পদ্ধতিতে তৈরি মজাদার চিলি সস। ১৫ দিন/১ মাস পর এই চিলি সস ভালোভাবে মিশিয়ে যেকোনো খাবারে দিলে খাবারের স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়বে এবং খাবারটি বেশ ঝাঁজালো ও স্পাইসি হবে। ব্যবহারঃ যেকোন আচার বা অন্য সস কে স্পাইসি করতে,মাংসের ম্যারিনেশনে,সবজি বা নুডলস স্পাইসি করতে অর্থাৎ যেকোন খাবার,রেসিপি বা তরকারি রান্নায় ভিন্ন স্বাদ আনতে এবং স্পাইসি করতে চিলি সস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।এছাড়া সালাদ সহ অন্যান্য উপকরণ দিয়েও খাওয়া যায়।আপনার ইচ্ছেমতো যেকোনো রেসিপিতে ট্রাই করে দেখতে পারেন। টিপসঃ # কাচা মরিচ দিয়ে চিলি সস বানালে কম ঝালযুক্ত মাংসল মরিচ নেয়ার চেষ্টা করবেন।এতে সসের টেকচার ভাল আসবে আর ঝালও কম হবে। ৭।পিজ্জা সস উপকরণঃ টমেটো ১ কেজি(হালকা সিদ্ধ করে ব্লেন্ড করে ছেকে পিউরি বের করে নিন) রসুন মিহি কুচি ২ টেবিল চামচ পেয়াজ মিহি কুচি ২ টেবিল চামচ চিনি ২ চা চামচ মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ গোল মরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ ওরিগ্যানো ২ চা চামচ বেসিল ২ চা চামচ অলিভ অয়েল/সাদা তেল ৪ টেবিল চামচ লবণ স্বাদমতো। প্রস্তুত প্রনালীঃ একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে পেয়াজ রসুন হালকা ব্রাউন করে ভেজে নিন। এরপর টমেটো পিউরি ও চিনি দিয়ে ৫/৬ মিনিটের মত জ্বাল দিয়ে নেড়েচেড়ে বাকি সব মশলা মিশিয়ে আরো ৩/৪ মিনিটের মত জ্বাল দিয়ে ঘন করে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এই পিজ্জা সস এয়ারটাইট কন্টেইনার এ ভরে ফ্রিজের নরমালে এক সপ্তাহ ও ডিপে ৩ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন। ব্যবহার: বিভিন্ন টাইপের পিজ্জার রুটির উপর ব্যবহার করা হয়। ৮।হোয়াইট সস/ক্রিমি পাস্তা হোয়াইট সস উপকরণঃ ময়দা ৪ টেবিল চামচ বাটার/মাখন ৪ টেবিল চামচ পেয়াজ গুড়া আধা চা চামচ রসুন গুড়া ২ চা চামচ লিকুইড দুধ ৪ কাপ গোল মরিচের গুঁড়ো আধা চা চামচ জয়ফল গুঁড়ো ১ চিমটি(অপশনাল) লবণ ১ চিমটি বা স্বাদমতো টেস্টিং সল্ট ১ চিমটি(অপশনাল) চিনি সামান্য(অপশনাল) কুচি করে নে'য়া চিজ ২ স্লাইস(অপশনাল) তাহিনি/তিলের সস/পেস্ট ১ চা চামচ।(অপশনাল) প্রস্তুত প্রনালীঃ প্রথমে একটি ননস্টিক প্যানে অল্প আঁচে মাখন গলিয়ে এতে পেয়াজ রসুন বাটা নিয়ে অল্প কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নিন। এরপর ময়দা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে একে একে গোলমরিচ,জয়ফল গুড়া,স্বাদমতো লবণ ও চিনি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন ময়দা জেনো লাল না হয়ে যায়।আর হ্যান্ড হুইক্স দিয়ে নাড়ার চেষ্টা করবেন এতে করে দলা পেকে যাবেনা। এরপর দুধ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।চার কাপ দুধ একবারে না দিয়ে ৩/৪ বারে দিয়ে মিশিয়ে নিন। সস ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন।সসের টেকচার আরো ক্রিমি করতে চাইলে নামানোর কিছুক্ষণ আগে চিজ কুচি দিয়ে গলিয়ে নিতে পাতেন। এই সস এয়ারটাইড কন্টেইনার এ ফ্রিজে এক সপ্তাহের মত ভাল থাকবে। ব্যবহার: পাস্তার ক্রিমি টেকচার আনতে ইউজ করা হয়।এছাড়া বিভিন্ন ফিলিং/পুর এর টেকচার ক্রিমি করতে ইউজ করা হয়। ৯।পেরিপেরি সস উপকরণঃ পেয়াজ কুচি ১ কাপ লাল ক্যাপসিকাম ১ টি লাল মরিচ ৬/৭ টি সিরকা আধা কাপ লেবুর রস ২ টেবিল চামচ গোলমরিচ গুড়া আধা চা চামচ লবন ১ চা চামচ/স্বাদমতো আদা কুচি ১ টেবিল চামচ রসুন বড় ১ টি সয়াসস,ওয়েস্টার স, চিলি সস(অপশনাল) ১ চা চামচ করে প্রতিটি। চিনি ১ চা চামচ সাদা তেল আধা কাপ। প্রস্তুত প্রনালীঃ সব উপকরণ একটি ব্লেন্ডারের জারে নিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর একটি কড়াইয়ে নিয়ে ৫/৬ মিনিটের মত জ্বাল করে ঘন থকথকে করে নামিয়ে নিন। এই পেরিপেরি সস এয়ারটাইট কন্টেইনার ভরে ফ্রিজে এক সপ্তাহের মত সংরক্ষণ করা যায়। ব্যবহার: পেরিপেরি চিকেন,পেরিপেরি কর্ন এবং বিভিন্ন সি ফুড রান্নায় ব্যবহার করা হয়। ১০।বারবিকিউ সস উপকরণঃ টমেটো পিউরি/কেচাপ ২ কাপ পানি ১ কাপ ওরচেস্টারশেয়ার সস ২ টেবিল চামচ ব্রাউন সুগার/আখের গুড় আধা কাপ(স্বাদমতো) সিরকা/সাদা ভিনেগার আধা কাপ গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ পাপরিকা ২ চা চামচ মরিচের গুঁড়ো ২ চা চামচ ভাজা জিরার গুঁড়া ১ টেবিল চামচ পেয়াজ গুড়া/বাটা ২ টেবিল চামচ রসুন গুড়া/বাটা ২ টেবিল চামচ সরিষা বাটা ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল/মাখন/বাটার ৩ টেবিল চামচ লবণ সামান্য। প্রস্তুত প্রনালীঃ চুলায় প্যান বসিয়ে অল্প আচে মাখন গলিয়ে একে একে সব উপকরণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ওরচেস্টারশায়ার সস না থাকলে অল্প তেতুলের কাথ দিতে পারেন। চুলার আঁচ একদম কমিয়ে ১৫/২০ মিনিটের মতো জ্বাল দিন।সাবধানে মাঝেমধ্যে নেড়েচেড়ে দিন যাতে তলায় না লেগে যায়। ঘন ও কালচে হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে কাচের জার বা বয়ামে ঢেলে নিন। এই সস মুখবন্ধ কাঁচের বয়ামে তিন থেকে চার মাস পর্যন্ত ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারবেন। ব্যবহার: মাছ মাংসের বারবিকিউ বানাতে ব্যবহার হয়। ১১।গ্রীল চিকেন সস উপকরণঃ ফুল ক্রিম ঠান্ডা দুধ ১ কাপ, গুঁড়া দুধ ২ টেবিল চামচ, সরিষা গুঁড়া/পেস্ট আধা চা চামচ, গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ সামান্য, চিনি ১ টেবিল চামচ, লেবুর রস/সাদা সিরকা ১ টেবিল চামচ, আচারের তেল মশলা ২ টেবিল চামচ, অরেঞ্জ জেলি ১ টেবিল চামচ, তেল এক কাপ, জর্দার রং এক চিমটি। প্রস্তুত প্রনালীঃ তেল বাদে সব উপকরণ ব্লেন্ডারে নিয়ে অল্প অল্প করে তেল দিয়ে ৯/১০ মিনিটের মত ব্লেন্ড করে নিন। তেল একবারে দেয়া যাবেনা।ভাগে ভাগে ৩/৪ বারে দিতে হবে। ব্যাস,ঘন হয়ে এলেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার গ্রিল চিকেনের সস। ফ্রিজে এয়ার টাইট কন্টেইনারে ৭ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে সস। ব্যবহার: এই সস পরিবেশন করতে পারেন ঘরে তৈরি গ্রিল বা তন্দুরি চিকেনে,শর্মাসহ অন্যান্য ফাস্টফুডের সঙ্গে। ১২।মাশরুম সস/ক্রিমি মাশরুম সস উপকরণঃ মাশরুম ১ কাপ(কুচি করা) মাখন ১ কাপ ময়দা ১টেবিল চামচ গরম মসলা গুঁড়ো ১ টেবিল চামচ গোল মরিচের গুঁড়ো আধা চা চামচ কর্নফ্লাওয়ার ১/৪ চা চামচ পেয়াজ কুচি ১ চা চামচ রসুন কুচি ২ টেবিল চামচ ফ্রেশ ক্রিম ১ চা চামচ চিকেন স্টক ৩ চা চামচ লবণ স্বাদমতো। প্রস্তুত প্রনালীঃ চুলায় একটি কড়াইয়ে/প্যানে বাটার নিয়ে পেঁয়াজ ও রসুন কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে মাশরুম দিয়ে দিন। এরপর লবণ,গোল মরিচ আর গরম মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে ময়দা দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ভেজে নিন। এরপর এতে চিকেন স্টক দিয়ে ভালো মত নেড়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে রান্না করে নিন। সস যখন কিছুটা ঘন হয়ে আসবে তখন এতে ক্রিম দিয়ে ভালো মত কিছুক্ষণ নেড়ে আরো কিছুটা ঘন করে নামিয়ে নিন। ব্যবহার: পরিবেশন করুন স্টেক,গ্রীল চিকেন ইত্যাদির সাথে। ১৩।মাস্টার্ড/সরিষার সস উপকরণঃ কালো সরিষা বাটা আধা কাপ হলুদ সরিষা বাটা আধা কাপ পানি আধা কাপ ভিনেগার ১ কাপ লবণ স্বাদমতো গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ দারুচিনি গুড়া সামান্য চিনি ২ চা চামচ আদা বাটা ১ চা চামচ রসুন বাটা ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ শুকনো লাল মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ। প্রস্তুত প্রনালীঃ সরিষার তেল বাদে বাকি সব উপকরণ একটি বাটিতে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে তাতে সরিষা বাটার মিশ্রণ ঢেলে দিয়ে হাই হিটে ৪/৫ মিনিটের মত জ্বাল দিয়ে বলক তুলে নিন। অর্থাৎ সরিষার মিশ্রণ এ যখন বুদ বুদ করে বল এর মত ফুটে উঠবে/ঘন হবে তখন নামিয়ে নিন। নামানোর পর কিছুটা ঠান্ডা হলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে ছেঁকে নিন এবং কাচের জ্বারে নরমাল ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।(রান্নার আগে সব উপকরণ বেটে ছেকে নিলে পরবর্তীতে আর ব্লেন্ড করে ছাঁকার প্রয়োজন নেই) এই সস ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে ১ মাসের মত ভাল থাকবে। ব্যবহার: হট ডগ,স্যান্ডউইচ,বার্গার ও অন্যান্য ভাজাপোড়ার সাথে পরিবেশন করা হয়। টিপসঃসরিষাবাটা বেশি জ্বাল করলে তেতো হয়ে যায় তাই বেশিক্ষণ জ্বাল করবেন না। ১৪।তেতুলের সস উপকরণঃ ঘন তেঁতুলের মাড় ২ কাপ (তেঁতুল পানিতে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে চটকে ছেঁকে নিন) ভিনেগার ১ কাপ। রসুন মিহি কুচি ১ টেবিল চামচ চিনি/গুড় ৪ কাপ বিট লবণ ২ চা চামচ টালা/ভাজা মরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ ভাজা জিরার গুঁড়া ২ চা চামচ ভাজা ধনিয়ার গুঁড়া ১ চা চামচ চাট মশলা ২ চা চামচ লবণ স্বাদমতো। প্রস্তুত প্রনালীঃ একসাথে সব উপকরণ মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে নেড়েচেড়ে ঘন করে নিলেই তৈরি মজার তেঁতুলের সস। অল্প সময় জ্বাল করে সস ঘন করতে চাইলে চিনি/গুড় গলে গেলে ২ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার ৪ টেবিল চামচ ভিনেগারের সাথে গুলে অনবরত নেড়ে মিশিয়ে নিন।এরপর পছন্দসই ঘনত্বে আসলে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা করে ফ্রিজে ৬ মাসের মত সংরক্ষণ করুন। ব্যবহার: বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড,ফুচকা,ভেলপুরি,চটপটি,দই বড়া ইত্যাদির সাথে পরিবেশন করুন মজাদার তেতুলের সস। ১৫।মেয়নিজ উপকরণঃ ডিম ১টি/দুধ আধা কাপ চিনি ১ চা চামচ লবণ সামান্য তেল ১ কাপ সাদা সরিষার গুঁড়ো আধা চা চামচ(অপশনাল) গোলমরিচের গুঁড়ো আধা চা চামচ(অপশনাল) লেবুর রস/ভিনেগার ১ টেবিল চামচ(অপশনাল) গুড়া দুধ ১ চা চামচ(অপশনাল) রোস্টেড সাদা তিল ১ টেবিল চামচ(অপশনাল)। প্রস্তুত প্রনালীঃ তেল ছাড়া বাকি সব উপকরণ বিটার দিয়ে বিট করে বা ব্লেন্ডারে ভাল করে মিশিয়ে নিন। গার্লিক মেয়োনিজ বানাতে চাইলে ১ চা চামচ রসুনের গুড়ো/বাটা দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর অল্প অল্প করে তেল দিয়ে হাত দিয়ে অনবরত বিট করতে থাকুন বা ব্লেন্ডারে লো পাওয়ারে ব্লেন্ড করতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর পর তেল দিতে হবে, একবারে সবটুকু তেল দেওয়া যাবেনা,একবারে দিলে কিন্তু মেয়োনিজ জমবে না। অল্প অল্প করে তেল মিশাতে মিশাতে মিশ্রণটি থকথকে ঘন হয়ে জমে গেলে বিট করা বা ব্লেন্ড করা বন্ধ করে দিন। এবার সস বাটিতে সাজিয়ে পরিবেশন করুন বিভিন্ন ফাস্টফুড/ভাজাপোড়ার সাথে। টিপসঃ #মেয়োনিজ বানানোর জন্য রুম টেম্পারেচারের ডিম ব্যবহার করতে হবে।ফ্রিজে রাখা ডিম সরাসরি ব্যবহার করা যাবেনা। #মেয়োনিজ জমতে তেলের পরিমাণ নির্ভর করে ডিমের সাইজের উপর।যখনই মিশ্রণটি একদম ঘন হয়ে যাবে,তখনই বুঝবেন যে আর তেল দিতে হবে না। #অনেক সময় ব্লেন্ডারে মেয়োনিজ ফেটে যায়,তখন আরেকটা ডিম ফাটিয়ে দিয়ে ব্লেন্ড করুন,এতে মিশ্রণটি জমে যাবে। #মেয়োনিজ এ স্বাদের ভিন্নতা আনার জন্য ধনেপাতা,রসুন,পুদিনা পাতা বা পছন্দমতো উপকরণ দিতে পারেন। #মেয়োনিজ নরমাল ফ্রিজে ২/৩ দিন ভাল থাকে।১ সপ্তাহের জন্য স্টোর করতে চাইলে লেবুর রস/ভিনেগার দিতে পারেন। ১৬।শর্মা সস/বার্গার সস উপকরণঃ মেয়োনিজ ১ কাপ টমেটো সস/কেচাপ ১/৩ কাপ চিলি ফেক্স/মরিচের গুড়া ১ চা চামচ। প্রস্তুত প্রনালীঃ এই সস বানাতে যতটুকু মেয়োনিজ নেবেন তার তিন ভাগের এক ভাগ টমেটো সস বা কেচাপ নিতে হবে।আর ঝাল নিজেদের স্বাদমতো কম বেশি করে নিতে হবে। মেয়োনিজ এর সাথে সব উপকরণ একসাথে ভাল করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার বার্গার সস/শর্মা সস। বার্গার/শর্মার স্বাদ দ্বিগুণ করতে বা ঘরে বসে রেস্টুরেন্টের স্বাদ পেতে এই সসের জুরি নেই। ১৭।পিনাট সস উপকরণঃ বাদাম আধা কাপ লেবুর রস ২ টেবিল চামচ চিনি ১ টেবিল চামচ লবন আধা চা চামচ সয়া সস ২ টেবিল চামচ সিরকা ১ টেবিল চামচ গ্রেট করা আদা ১ ইঞ্চি পরিমাণ গ্রেট করা রসুন ২ কোয়া নারিকেল দুধ/পানি প্রয়োজন মত। প্রস্তুত প্রনালীঃ প্রথমে ব্লেন্ডার বা গ্রাইন্ডারে নারিকেল দুধ বা পানি দিয়ে বাদাম ভাল করে পেস্ট করে নিন। এরপর একটা প্যানে নিয়ে বাদাম পেস্টের সাথে বাকি সব উপকরণ একসাথে ভাল করে মিশিয়ে নিন। পছন্দসই ঘনত্বের জন্য প্রয়োজন হলে আরো কিছুটা নারকেল দুধ বা পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে একটি বলক তুলে নামিয়ে নিন। এই সস ঠান্ডা করে ফ্রিজে এক সপ্তাহের মত সংরক্ষণ করা যাবে এয়ারটাইড কন্টেইনারে। সসের ঘনত্ব বেশি হলে পরিবেশন এর আগে নারকেল দুধ বা পানি দিয়ে পাতলা করে নিন। পিনাট সস সিদ্ধ শাক সবজির,গ্রিল চিকেন বা সালাদ ড্রেসিং এ ব্যবহার করা হয়। ১৮।গার্লিক চিলি অয়েল,চিলি অয়েল & মোমো ডিপিং সস গার্লিক চিলি অয়েল এর উপকরণঃ চিলি ফ্লেক্স ৪ টেবিল চামচ মরিচের গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ রসুন মিহি কুচি ২ টেবিল চামচ সাদা তিল ১ টেবিল চামচ লবণ ২ চা চামচ লাল চিনি ২ চা চামচ একটি বাটিতে উপরের সব উপকরণ একসাথে নিয়ে মিশিয়ে নিন। তিলের তেল ১ কাপ দারুচিনি ১ টুকরো স্টার এনিস ২ টি তেজপাতা ১ টি আদা আধা ইঞ্চি(স্লাইস করা) কালো গোলমরিচ আধা চা চামচ। এবার চুলায় একটি প্যান বসিয়ে তাতে উপরের সব উপকরণ নিয়ে ভাল করে গরম করে বাটিতে মিশিয়ে রাখা মিশ্রণ এ ঢেলে দিয়ে নেড়েচেড়ে দিন।ঠান্ডা হলে কাচের জারে সংরক্ষণ করুন গার্লিক চিলি ডিপ বা অয়েল এবং পরিবেশন করুন মোমো কিংবা সালাদ এর উপরে। চিলি অয়েল এর উপকরণঃ চিলি ফ্লেক্স ২ টেবিল চামচ লাল মরিচের গুঁড়ো ১ চা চামচ কাচা সাদা তিল ১ চা চামচ গন্ধহীন যেকোন তেল আধা কাপ। প্রস্তুত প্রনালীঃ একটি বাটিতে চিলি ফ্লেক্স,লাল মরিচের গুঁড়ো,সাদা তিল নিন। এরপর একটি পাত্রে তেল গরম করে বাটির উপকরণ এর মাঝে ঢেলে দিন।ঠান্ডা হলে ছেঁকে নিয়ে কিছু ভেজে নেয়া সাদা তিল মিশিয়ে কাচের জারে সংরক্ষণ করুন।কিংবা না ছেঁকেও সংরক্ষণ করতে পারেন। মোমো ডিপিং সস এর উপকরণঃ চিলি অয়েল ১ টেবিল চামচ সয়া সস ১ টেবিল চামচ(ডার্ক সয়া সস নিলে আধা টেবিল চামচ) রাইস ভিনেগার/আপেল সিডার ভিনেগার/লেবুর রস ১ টেবিল চামচ পানি ১ টেবিল চামচ তিলের তেল ১\৪ চা চামচ স্পিং অনিয়ম ১ চা চামচ(কুচি করা) প্রস্তুত প্রনালীঃ সব উপকরণ একসাথে ভাল করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মোমো ডিপিং সস। ১৯।সেজোয়ান সস উপকরণঃ কাস্মীরী লাল মরিচ বাটা ২ টেবিল চামচ শুকনো মরিচ বাটা ২ টেবিল চামচ আদা বাটা/মিহি কুচি ২ টেবিল চামচ রসুন বাটা/মিহি কুচি ১ টেবিল চামচ পেয়াজ বাটা/মিহি কুচি ১ টি(ছোট) তেল আধা ১\৪ কাপ ভিনেগার ২ টেবিল চামচ চিনি/মধু ১ টেবিল চামচ লবণ স্বাদমতো টেস্টিং সল্ট আধা চা চামচ সয়া সস ২ টেবিল চামচ গোল মরিচ গুঁড়ো ১\৪ টেবিল চামচ টমেটো সস/কেচাপ ২ টেবিল চামচ। প্রস্তুত প্রনালীঃ প্রথমে লাল মরিচ গরম পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ব্লেন্ড করে নিন। এবার একটি সসপ্যানে তেল গরম করে মিহি কুচি করা/বাটা আদা,রসুন,পেয়াজ দিয়ে কিছুটা বাদামি করে ভেজে নিয়ে ব্লেন্ড করা মরিচের পেস্ট দিয়ে ২/৩ মিনিট নেড়েচেড়ে আরেকটু ভেজে ১ কাপ পানি দিয়ে চুলার আঁচ কম করে ৮/১০ মিনিটের মত নেড়েচেড়ে রান্না করুন। এরপর স্বাদমতো লবণ,চিনি,টমেটো কেচাপ,ভিনেগার,গোলমরিচের গুড়ো, সয়াসস দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে আরো ২/৩ মিনিট রান্না করুন। সস গাঢ় হয়ে তেল উপরে উঠে আসলে নামিয়ে ঠান্ডা করে কাচের জারে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। পরিবেশন করার আগে অল্প ঘেঁটে নিয়ে পরিবেশন করুন বা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহার করুন। ব্যবহারঃ সেচুয়ান সস মুলত বিভিন্ন চাইনিজ রান্নাকে স্পাইসি করতে ব্যবহার করা হয়।তাছাড়া নুডলস,পাস্তা,ফ্রাইড রাইস,চাউমিন ইত্যাদি খাবারে অন্যরকম ফ্লেভার ও স্পাইসি করতে ব্যবহার করা হয়। ২০।হালাল ভেজিটেরিয়ান ঊস্টার/ওয়েস্টার সস সিতাকি মাশরুম ২০ গ্রাম চিনি আধা কাপ পানি প্রয়োজন মত কর্নফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ ভিনেগার আধা টেবিল চামচ সয়া সস ১ টেবিল চামচ ডার্ক সয়া সস ১ টেবিল চামচ নরমাল লবণ ১ চা চামচ/স্বাদমতো টেস্টিং সল্ট ১ টেবিল চামচ(অপশনাল)। প্রস্তুত প্রনালীঃ মাশরুম ভাল করে ধুয়ে ফুটন্ত গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ৪/৫ ঘন্টা।এরপর হাত দিয়ে চিপে মাশরুম থেকে পানি আলাদা করে কুচি কুচি করে কেটে চিপে রাখা পানি দিয়ে ভাল করে স্মুথ পেস্ট করে নিতে হবে ব্লেন্ডারে। একটি সস প্যানে চিনি দিয়ে তাতে ৩ টেবিল চামচ পানি মিশিয়ে অল্প আচে চিনি গলিয়ে নেড়েচেড়ে ক্যারামেল করে নিন। চিনি পুড়ে গাড়ো বাদামি হয়ে আসলে এতে ব্লেন্ড করে রাখা মাশরুম পেস্ট সাবধানে দিয়ে নেড়ে দিন। এরপর একে একে সয়া সস,ডার্ক সয়া সস,লবণ, টেস্টিং সল্ট দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। অল্প কিছুক্ষণ জাল করে সব ভাল করে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়ে ভিনেগার এর সাথে কর্নফ্লাওয়ার গুলে অল্প অল্প করে মিশিয়ে সস ঘনো করে নিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করে বোতলে ভরে সংরক্ষণ করুন। ২১।সয়া সস উপকরণঃ সয়াবিন ৪ চা চামচ গম ৪ চা চামচ চা পাতা ৪ চা চামচ গুড় ১ কাপ লবণ ২ চামচ লেবুর রস ২৫০ গ্রাম প্রস্তুত প্রনালীঃ সয়াবিন ও গম পরিষ্কার পানি দিয়ে ৩/৪ বার ধুয়ে পরিষ্কার পানি ভর্তি পাত্রে ভিজিয়ে সারারাত রেখে দিন। সকালে সয়াবিন ও গম ভিজিয়ে রাখা রাতের পানি ফেলে দিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে আবারো ভাল করে ধুয়ে নিন। এবার একটি মোটা কাপড় দিয়ে বান্ডিলে সয়াবিন ও গম পুটলি করে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখুন সারা দিনরাত,এতে সয়াবিন ও গম অঙ্কুরিত হবে।এই অঙ্কুরিত সয়াবিন ও গম ই মুলত সয়াসস এর মুল উপাদান। দ্বিতীয় দিন সয়াবিন এবং গম অঙ্কুরিত হলে,এটি বান্ডিল থেকে বের করে পরিষ্কার পানি দিয়ে দুই তিন বার ধুয়ে নিন। অঙ্কুরিত সয়াবিন ও গম একটি ব্লেন্ডারের জারে নিয়ে ব্লেন্ড করে মসৃণ পেস্ট তৈরি করে নিন।প্রয়োজনে পানি দিয়ে পাতলা মসৃণ করে নিন। এবার একটি প্যান নিয়ে তাতে আধা গ্লাস পানি দিয়ে গ্যাসে অল্প আঁচে বসিয়ে এতে চা পাতা দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটতে দিন। পানি ফুটে উঠলে চা পাতা ছেঁকে পানিটা আবার গ্যাসে বসিয়ে গুড় দিয়ে গুড় ভালোভাবে গলে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন। এরপর মিশ্রণে লবণ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার প্যানে সয়াবিন ও গমের মিশ্রণ দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না করতে থাকুন এবং সবশেষে এই মিশ্রণে লেবুর রস মেশান। লেবুর রস মেশানো হলে সস ঠান্ডা করে কাচের বোতলে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। ২২।ম্যাগি সস উপকরণঃ ২৫০ মিলি ম্যাগি সসের জন্য, ডার্ক সয়া সস ৩০ মিলি/৬ চা চামচ লবন ৪০ মিলি/৮ চা চামচ টেস্টিং সল্ট ৪০ মিলি/৮ চা চামচ চিনি ১৫ মিলি/৩ চা চামচ সাদা ভিনেগার ২০ মিলি/৪ চা চামচ। প্রস্তুত প্রনালীঃ উপরের ১৪৫ মিলি উপকরণ এর সাথে ১০৫ মিলি পানি মিশিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ব্যাস হয়ে গেলো ম্যাগি সস।এবার কাচের জারে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। ব্যবহারঃ যেকোন চাইনিজ রেসিপি তে চাইনিজ ফ্লেভার আনার জন্য এই সস ব্যবহার করা হয়। ২৩।লেমন বাটার সস/লেমন গার্লিক বাটার সস উপকরণঃ রসুন ৪/৫ কোয়া লবন ১ চিমটি গোলমরিচ গুঁড়ো ১\৪ চা চামচ বাটার ২ টেবিল চামচ ক্রিম ২ টেবিল চামচ মধু ১ চা চামচ লেবুর রস আধা চা চামচ। প্রস্তুত প্রনালীঃ সব উপকরণ একসাথে নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিলেই লেমন বাটার সস রেডি হয়ে যাবে। ফ্রিজে নরমাল এ এটিকে রেখে ১ সপ্তাহের মত সংরক্ষণ করা যাবে। ২৪।গার্লিক সস উপকরণঃ রসুনের কোয়া আধা কাপ (কুচি করা) লেবুর রস ২ টেবিল চামচ লবণ ১ চিমটি যেকোনো গন্ধহীন তেল ১ কাপ ডিমের সাদা অংশ ১ টি। প্রস্তুত প্রনালীঃ প্রথমে লবণ ও তেল দিয়ে ব্লেন্ডারে রসুন পেস্ট করে নিন।এরপর অর্ধেক লেবুর রস দিয়ে আবার ব্লেন্ড করুন।সাথে অল্প অল্প করে বাকি তেল দিয়ে ব্লেন্ড করতে থাকুন। সবশেষে বাকি লেবুর রস দিয়ে ব্লেন্ড করুন যতক্ষণ না থকথকে স্মুথ পেস্ট হয়। ব্যাস হয়ে গেল মজাদের গার্লিক সস।এয়ার টাইট জারে ভরে ফ্রিজে এক সপ্তাহের মত সংরক্ষণ করতে পারবেন এই মজাদার গার্লিক সস। ব্যবহারঃ যে কোনো ভাজাপোড়া,স্যান্ডউইচ,শর্মা,তান্দুরি চিকেন,ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ ইত্যাদির সাথে পরিবেশন করা যায় লেমন গার্লিক বাটার সস/গার্লিক সস। ২৫।গ্রীন সস উপকরণঃ ধনেপাতা ১ কাপ পুদিনা পাতা আধা কাপ তেতুলের মাড়/টক দই/লেবুর রস ২ টেবিল চামচ(অপশনাল) রসুনের কোয়া ৪/৫ টি কাচা মরিচ ৩/৪ টি চিনি ২ টেবিল চামচ চিনই লবণ স্বাদমতো পানি প্রয়োজন মত। প্রস্তুত প্রনালীঃ সব উপকরণ একটি ব্লেন্ডারের জারে নিয়ে পরিমাণ মত পানি দিয়ে ভাল করে পেস্ট বানিয়ে নিন। চাইলে পাটায় বেটেও নিতে পারেন। লবণ ঝাল চেক করে পরিবেশন করুন বিভিন্ন ভাজাপোড়ার সাথে মজাদার এই গ্রীন সস। নরমাল ফ্রিজে এই সস ২/৩ দিন ভাল থাকবে। গ্রীন সসের সাথে সম পরিমাণ অর্থাৎ ২ টেবিল চামচ গ্রীন সস নিলে ২ টেবিল চামচ টকদই/মেয়োনিজ মিশিয়ে ভিন্ন স্বাদের গ্রীন সস বানিয়ে নিতে পারেন। ২৬।ধনেপাতার সস উপকরণঃ ধনেপাতা ২৫০ গ্রাম কাচামরিচ ২/৩ টি রসুনের কোয়া ৬/৭ টি আদা ১ ইঞ্চি ভাজা জিরার গুঁড়া ১ চা চামচ(অপশনাল) ভাজা ধনিয়ার গুঁড়া ১ চা চামচ(অপশনাল) চিলি ফ্লেক্স/মরিচের গুড়া ১ চা চামচ/ঝাল বুঝে লবণ স্বাদমতো তেতুলের মাড়/কাথ ২ টেবিল চামচ বা টমেটো ১ টি(পুড়িয়ে/সিদ্ধ করে খোসা ছাড়ানো) ভিনেগার/লেবুর রস ১ টেবিল চামচ চিনি ১ চা চামচ(অপশনাল) টক দই আধা কাপ(অপশনাল)। প্রস্তুত প্রনালীঃ ধনে পাতা ভাল করে ধুয়ে কেটে টক দই ছাড়া বাকি সব উপকরণ সহ ব্লেন্ডারে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর টক দই দিয়ে আরো কিছুক্ষণ ব্লেন্ড করে নিন। ব্যস হয়ে গেলো মজাদার ধনিয়াপাতার সস।এরপর পরিবেশন করুন বিভিন্ন ভাজাপোড়ার সাথে। ফ্রিজে কয়েকদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে অবশ্যই ভিনেগার দেবেন। বি:দ্র:যারা কাচা ধনেপাতার ফ্লেবার পছন্দ করেন না তারা প্যানে সরিষা তেল গরম করে ব্লেন্ড করা ধনিয়াপাতার পেস্ট দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নিন। ২৭।তাহিনি বা তিলের সস উপকরণঃ সাদা তিল আধা কাপ অলিভ অয়েল পরিমাণ মত লবণ স্বাদমতো। প্রস্তুত প্রনালীঃ প্রথমে গরম প্যান বা তাওয়াতে তিল হালকা করে ভেজে নিন অল্প আঁচে।এমন ভাবে ভাজবেন যাতে তিল ব্রাউন হয়ে না যায়। এরপর তিল স্বাদমতো লবন দিয়ে পেস্ট করে নিন।তিল থেকে যে তেল বের হবে তাতেই মসৃণ পেস্ট হবে।যদি না হয় তো কিছুটা অলিভ অয়েল দিয়ে পেস্ট করে নিন। সংরক্ষণ পরবর্তীতে সস আবারো ঘন হলে পেস্টের ঘনত্ব পাতলা করতে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই সস শর্মা,হামাস প্রভৃতি খাবারে ব্যবহার করা হয়। ২৮।চিজ সস/নাচো চিজ সস উপকরণঃ বাটার ২ টেবিল চামচ ময়দা দের টেবিল চামচ দুধ ৩০০ মিলি লবন ১ চিমটি গোল মরিচ গুঁড়ো ১ চিমটি চিজ ২০০ গ্রাম(কিউব করে কাটা)। প্রস্তুত প্রনালীঃ চুলায় প্যান বসিয়ে তাতে বাটার গলিয়ে ময়দা দিয়ে ভেজে নিন কিছুক্ষণ। এরপর অল্প অল্প করে দুধ মিশিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। ময়দা আর দুধ ভালভাবে মিশে গেলে লবন ও গোল মরিচ গুঁড়ো দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে চিজ দিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন। চিজ গলে সস ঘন হলে নামিয়ে পরিবেশন করুন। ব্যবহারঃ চিজ সস সাধারণত বিভিন্ন চিপস,নাচোস ও শাকসবজির জন্য ডিপ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া এই সস বিভিন্ন খাবার বা সাইড ডিশ যেমন স্যান্ডউইচ,রোস্টেড আলু,ক্যাসারোল,পাস্তা,ডিম,মাছ ও মাংসের খাবার এবং স্যুপে ডিপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ২৯।পনির সস উপকরণঃ হোয়াইট/সাদা সস ১ কাপ নরম পনির আধা কাপ গ্রেট করা পনির আধা কাপ। প্রস্তুত প্রনালীঃ সাদা সসের সাথে আধা কাপ নরম পনির একটি প্যানে নিয়ে অল্প আঁচে চুলায় দিয়ে নাড়তে থাকুন। পনির গলে গেলে গ্রেড/ঝুরি করা পনির দিয়ে নাড়তে থাকুন।পনির গলে গলে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে নিন। ব্যবহারঃ ডিমের অমলেট,সুফলে এবং সিদ্ধ সবজির সাথে পনির সস পরিবেশন করা হয়।এছাড়া পনির সসের সাথে ২টে.চা মাস্টার্ড সস ও গোলমরিচ মিশিয়ে ফ্রাইড ফিসের সাথে পরিবেশন করা যায়। ৩০।আনারস সস উপকরণঃ আনারস ৪ কাপ চিনি ২ কাপ রসুন কুচি ২ টেবিল চামচ চিলি ফ্লেক্স ২ চা চামচ লবন ২ চা চামচ লেবুর রস/ভিনেগার আধা কাপ পানি ১ কাপ লেমন জেস্ট(লেবুর উপরের খোসা) ১ টেবিল চামচ।(অপশনাল) কর্নফ্লাওয়ার ৬ টেবিল চামচ(আধা কাপ পানিতে গুলিয়ে রাখা)। মাখন ১ টেবিল চামচ(অপশনাল)। প্রস্তুত প্রনালীঃ আনারস ভাল করে ছিলে ভেতরের শক্ত অংশ বাদ দিয়ে টুকরো করে কেটে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।চাইলে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকেও নিতে পারেন। এবার ব্লেন্ড করা আনারস একটি কড়াই বা প্যানে নিয়ে এতে কর্নফ্লাওয়ার ছাড়া বাকি সব উপকরণ দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর চুলায় জ্বাল ধরিয়ে কড়াই বসিয়ে অনবরত নাড়তে থাকুন।চিনি গলে পানি কিছুটা কমে এলে গুলে রাখা কর্নফ্লাওয়ার এর মিশ্রণ ঢেলে দিন এবং অনবরত নাড়তে থাকুন।চাইলে নামানোর আগে মাখন দিয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিতে পারেন। এবার সস পছন্দসই ঘনত্বে এলে নামিয়ে পরিবেশন ও সংরক্ষণ করুন। নোটঃএই একই রেসিপি ফলো করে অন্যান্য ফলেরও সস বানিয়ে নেয়া যাবে। ৩১।হলান্ডেইজ সস উপকরণ: মাখন,লেবুর রস,সিরকা,ডিমের কুসুম,স্বাদমতো লবণ। প্রস্তুত প্রনালী: সব একসঙ্গে একটা পাত্রে নিয়ে মিশিয়ে আধা সেদ্ধ করতে হবে।এই আধা সেদ্ধ করার কাজটি করার জন্য একটা পাত্রে গরম পানি দিয়ে অল্প করে তাপ প্রয়োগ করে মিশ্রণ ঘন করে তৈরি করে নিন এই সস।যা সেদ্ধ বা ঝলসানো মাংসের সঙ্গে খেতে ভালো লাগে। ৩২।আল বাইক গার্লিক সস উপকরণঃ কর্নফ্লাওয়ার ১\৪ কাপ পানি আধা কাপ দুধ ৩\৪ কাপ গন্ধহীন তেল ১ কাপ রসুন বাটা ২ চা চামচ লবণ ১ চা চামচ/স্বাদমতো লেবুর রস ২ টেবিল চামচ। প্রস্তুত প্রনালীঃ একটি প্যানে আধা কাপ পানির সাথে কর্নফ্লাওয়ার ভাল করে মিশিয়ে চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিয়ে অনবরত নেড়ে সচ্ছ হালুয়ার মত হলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এরপর ব্লেন্ডারের জারে কর্নফ্লাওয়ার এর হালুয়া নিয়ে তেল ও লেবুর রস বাদে বাকি সব উপকরণ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এবার ব্লেন্ডারের মিশ্রনে অল্প অল্প তেল দিয়ে ব্লেন্ড করতে থাকুন।সব তেল দিয়ে ব্লেন্ড করা হলে মিশ্রণ টি থকথকে আঠালো হয়ে আসবে,অনেকটা মেয়োনিজ এর মত। সবশেষে লেবুর রস একটু একটু করে দিয়ে ভালভায় ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার আল বাইক গার্লিক সস। ফ্রিজের নরমালে এয়ার টাইট জারে এক সপ্তাহের মত সংরক্ষণ করা যাবে এই সস। ব্যবহারঃ এই সস মুলত আল বাইক চিকেন এর সাথে পরিবেশন করা হয়।তবে যারা গার্লিক ফ্লেভার পছন্দ করেন তারা যেকোনো ভাজাপোড়ার সাথে এই সস খেতে পারেন। ৩৩।টার্টার সস উপকরণ: মেয়োনিজ,পেঁয়াজ মিহি কুচি,সবজি মিহি কুচি,ধনেপাতা কুচি। প্রস্তুত প্রনালী: সব একসাথে মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিলে মজাদার টার্টার সস তৈরি হয়ে যায়।রান্না করা মাংসের সাথে এই সস খেতে খুব ভাল লাগে। ভাজাপোড়া ফাস্টফুড খাবারের সাথে যেকোনো সস ছাড়া যেমন আমাদের চলেইনা তেমন রান্না করা খাবারেও একেক ধরনের সস এর ব্যবহার একেক রকমের স্বাদ এনে দেয়।তবে প্রায় সব ধরনের সস ই মাংস রান্নায় ব্যবহার করা যায় এবং একই রকম মাংসে ভিন্ন ভিন্ন সসের ব্যবহারে স্বাদে আসে ভিন্নতা।এছাড়া সস এ ভিনেগার দেয়া থাকে আর এই ভিনেগার মাংস সেদ্ধ করতে এবং খাবারের স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করে।তাছাড়া ফিস সস,ওয়েস্টার সস ফ্রাইড রাইস ও মাংসের স্বাদ দ্বিগুণ করতে সাহায্য করে।